Skip to main content
 

আমাদের কথা

কুড়িগ্রাম বিচার বিভাগের ইতিহাস 

কুড়িগ্রাম বিচার বিভাগের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। এই যে বিচারের জন্য সুরম্য অট্রালিকা, সাহেবী আদব-কায়দা এবং আইনজ্ঞদের বাহারী উপস্থাপনা শতাব্দিকাল আগেও ছিল স্বপ্নের অতীত। এ এলাকার মানুষ সুলতানী ও মোঘল আমলের রাজা বা সম্রাটদের সৃজিত আইন ও বাণী দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী পরিচালিত হয়েছিল। এখানে দীর্ঘদিন বিভিন্ন এলাকায় কাজী সাহেররা বিচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী তাদের শাসনকে শান্তিপূর্ণ ও নিরবিছিন্ন করার জন্য ১৭৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর কালেক্টর প্রতিষ্ঠা করে। ১৭৮১ সালে রংপুর কালেক্টর পরিপূর্ণরুপ পেলে তথায় একজন কালেক্টর নিয়োগ দেয়া ১৭৯৩ সাল পর্যন্ত রংপুরের বিচার বিভাগ প্রশাসনের সাথে যুক্ত থাকায় কালেক্টর জেলা জজের দায়িত্বও পালন করতেন। ১৭৯৩ সালের ২২ নং রেগুলেশনের বলে সরকার প্রতিটি জেলার ২০ মাইল এলাকা নিয়ে একটি করে পৃথক থানা গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

১৮৭৫ সালে বড়বাড়ী, নাগেশ্বরী, উলিপুর- চিলমারী নিয়ে কুড়িগ্রাম নামে একটি মহুকুমা স্থাপন করা হয়। কুড়িগ্রাম মহুকুমা প্রতিষ্ঠিত হবার আগে এখানকার বিচারিক কাজ-কর্ম রংপুর এবং তার পরে বড়বাড়ীতে মুন্সেফী আদালতের মাধ্যমে নির্বাহ করা হত। বড়বাড়ীর উত্তরে কুলাঘাট নামক স্থানেও একটি চৌকির অস্তিত্ব ইতিহাসে পাওয়া যায়। ১৮৮১ সালে থানার পূর্ণবিন্যাস করে কুড়িগ্রাম নামে একটি থানা সৃষ্টি করা হয়। এরপর কুড়িগ্রামেই মহুকুমা সদর স্থাপন করা হয়।মহুকুমা সৃষ্টির পর এখানে মুন্সেফী আদালত বড়বাড়ী হতে কুড়িগ্রামে স্থানান্তর করা হয়। মুন্সেফী আদালতে জমি জমা সংক্রান্ত বিচার হতো, মহুকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট নামে জেলা কালেক্টরেট তথা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আওতায় একটি ফৌজদারী আদালত কুড়িগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে উভয় শ্রেণীর বিচারের আপীল আদালত ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত রংপুরেই থেকে যায়।

১৯৮৪ সালে সাবেক সামরিক শাসক লেঃ জেঃ এইচ.এম এরশাদ কুড়িগ্রাম মহুকুমাকে জেলায় উত্তীর্ণ করেন। তৎপ্রেক্ষিতে গত ১৫/০১/১৯৮৫ সালে জেলা ও দায়রাজজ হিসেবে জনাব আবু বকর মিয়াজি মহোদয়কে নিয়োগ প্রদান করা হয়। উপজেলা গঠিত হলে কুড়িগ্রামের নয়টি থানাই উপজেলার মর্যাদা পায় এবং দেশে আইনের ইতিহাসে প্রথমবারের মত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত বিকেন্দ্রীকৃত হয়ে উপজেলা সদরে স্থাপিত হয়। ১৯৯০ সালে উপজেলা থেকে আদালত সমূহ প্রত্যাহার করে জেলা সদরে পুনরায় স্থাপন করা হয় যা আজো বিদ্যমান আছে। বর্তমান জেলা ও দায়রাজজ, কুড়িগ্রাম পদকে অলংকৃত করছেন জনাব মো.আলমগীর কবির।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি, কুড়িগ্রামঃ

সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ভিত্তিতে সরকার ম্যাজিস্ট্রেসিকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করেন এবং ১ লা নভেম্বর ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় পৃথক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি তৈরি করা হয় এবং কুড়িগ্রামে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠন করা হয়। নব গঠিত এই আদালতের প্রধান হিসেবে এই পদকে অলংকৃত করেন জনাব ও.এইস.এম ইলিয়াস হোসাইন। বর্তমানে কুড়িগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদকে অলংকৃত করছেন জনাব আলমগীর কবির শিপন।