হোম আমাদের সম্পর্কে জেলা বিচার বিভাগের ইতিহাস
জেলা বিচার বিভাগ, কুড়িগ্রাম এর ইতিহাস
কুড়িগ্রাম বিচার বিভাগের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৮৭৫ সালে হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারী নিয়ে কুড়িগ্রাম নামে একটি মহুকুমা স্থাপন করা হয়। কুড়িগ্রাম মহুকুমা প্রতিষ্ঠিত হবার আগে কুড়িগ্রাম এর বিচারিক কার্যক্রম রংপুর জেলা কর্তৃক লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে মুন্সেফ আদালতের মাধ্যমে নির্বাহ করা হত। বড়বাড়ীর উত্তরে কুলাঘাট নামক স্থানে একটি চৌকি আদালতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১৮৮১ সালে থানাসমূহের পূর্ণবিন্যাস করে কুড়িগ্রামেই মহুকুমা সদর স্থাপন করা হয়। মহুকুমা সৃষ্টির পর মুন্সেফ আদালত বড়বাড়ি থেকে কুড়িগ্রামে স্থানান্তর করা হয়। মুন্সেফ আদালতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিচার কার্যক্রম চলত। সে সময় মহুকুমা ম্যাজিস্ট্রেট নামে জেলা কালেক্টরেট তথা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আওতায় একটি ফৌজদারী আদালত কুড়িগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত উভয় শ্রেণির বিচারের আপীল আদালত ছিল রংপুর-এ।
১৯৮৪ সালে কুড়িগ্রাম মহুকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে জনাব আবু বকর মিয়াজি মহোদয়কে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ১৯৯০ সালে উপজেলা থেকে আদালতসমূহ প্রত্যাহার করে জেলা সদরে পুনরায় স্থাপন করা হয়, যা আজও বিদ্যমান।
সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ভিত্তিতে ১ লা নভেম্বর ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকার ম্যাজিস্ট্রেসিকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করেন । তখন বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় পৃথক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি তৈরি করা হয় এবং কুড়িগ্রামে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠন করা হয়। নবগঠিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান হিসেবে এই পদকে অলংকৃত করেন জনাব ও.এইস.এম ইলিয়াস হোসাইন।